মোঃ ফারুক আলম, টেকনাফ কক্সবাজার থেকে : টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যালয়ে এসে পড়লো। এ সময় স্থলবন্দরের অফিসের জানলা এবং ট্রাকের কাচ ভেঙে গেছে। এতে আতঙ্কে স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বুধবার দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি লাগে স্থল বন্দরে।
গুলির বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুপুরে সীমান্তে লাল দ্বীপ-জালিয়ার দ্বীপে দুই গ্রুপের মধ্য হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। বেশকিছুক্ষন ধরে গুলি বর্ষণ চলে। এতে আমাদের অফিসে এসে দুটি গুলি পড়ে। সে সময় আমরা দুইজন অফিসে কর্মরত ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আতঙ্কে বন্দরের শ্রমিকরা কাজ না করে চলে গেছে। ফলে মিয়ানমার থেকে আসা ২৪ হাজার ব্যাগের একটি বাণিজ্য ট্রলারের মালামাল খালাস বন্ধ রয়েছে। এ সীমান্তে প্রায় সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আমরা সবাই অনিরাপদে আছি।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শ্রমির মো.নাজির বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে একটি ট্রলার মালামাল নিয়ে আটজন ব্যবসায়ীর কাছে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌছে। এই ট্রলার থেকে মালামাল খালাসের সময় মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ে। এতে শ্রমিকরা ভয়ে পালিয়ে যায়। এখন বন্দরজুড়ে আতঙ্ক।’
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো.আদনান চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ৩টি গুলি এসে পড়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কারা গুলি করেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
https://slotbet.online/