• বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝালকাঠিতে ব্রাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালন । চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা। মাদারীপুরে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান। ঝালকাঠিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মোনাজাত। ঝালকাঠিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন। ঝালকাঠিতে জমি জমার বিরোধের জেরে ঘর ভাঙচুর: আইনের আশ্রয় নিলেন নিঃস্ব নারী। ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) সংসদ সদস্য প্রার্থী সেলিম রেজার,ঝালকাঠির লেবুবুনিয়া বাজার অফিস উদ্বোধন ও গণসংযোগ। রাজাপুর গালুয়া বাজারে সেলিম রেজার গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া। জয়পুরহাটের নবান্ন উৎসব : আউলিয়া পারভীন ঝালকাঠি জেলা তাতি দলের কমিটি অনুমোদন।

খুলনার দৌলতপুর থানার দূর্নীতিবাজ এএসআই তপন কর্তৃক সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও টাকা দাবী করে ভয়ভীতির অভিযোগ

Reporter Name / ৯৯ Time View
Update : রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার দৌলতপুর থানার দূর্নীতিবাজ এএসআই তপন কর্তৃক সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও টাকা দাবী করে ভয়ভীতির অভিযোগ উঠেছে। খুলনার দৌলতপুর থানার এএসআই তপন কর্তৃক হয়রানি ও ভয়ভীতি থেকে পরিত্রাণ ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সহযোগিতা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এআইজি সিকিউরিটি সেল সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মোঃ ওবায়দুর রহমান নামক এক ব্যাক্তি।

অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল জেলার সদর থানাধীন আগদিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ওবায়দুর রহমান খুলনার বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে পাইকারি ভাবে আতর সরবরাহ করতেন।

তিনি আতর ব্যাবসায়ী হিসেবে দৌলতপুরের ভ্রাম্যমাণ খুচরা আতর ব্যাবসায়ী মফিজুল ইসলাম ও মামুনের নিকট আতর সরবরাহ করতেন। যার ধারাবাহিকতায় তাদের নিকট বিগত ৬ মাসে প্রায় ২২ হাজার টাকার আতর বিক্রয় করেন। যার মধ্যে ৪ হাজার টাকা বাকি হিসেবে পাওনা ছিলো। গত ৪ মার্চ ওবায়দুর রহমান উক্ত পাওনা টাকা আনতে গেলে মফিজুল ও মামুন তাকে হঠাৎ আটকে ফেলে এবং সাঁজানো ভাবে তার নিকট ৬০ হাজার টাকা পাবে বলে দাবী করে। এরই মধ্যে দৌলতপুর থানার এএসআই তপনকে সেখানে হাজির করে সাথে নিয়ে জোরপূর্বক একটা সাদা কাগজে ভয়-ভীতি দিয়ে ওবায়দুরের স্বাক্ষর নেয়৷ এবং মিথ্যা মামলার ভয় দিয়ে অঙ্গীকার নামা বানিয়ে এএসআই তপনের মোবাইলে ভিডিও করে।

তখন একা থাকায় ওবায়দুর রহমান মারধর ও এএসআই তপন কর্তৃক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ে তাদের দেয়া কাগজে স্বাক্ষর করেন এবং এএসআই তপনের জোরাজুরিতে ২ হাজার টাকা তাকে বাধ্য হয়ে দিয়ে চলে আসেন ওবায়দুর।

এরপর থেকে এএসআই তপন তার মোবাইল নম্বর ০১৭২১-১৯২৩৮৪ থেকে ভিকটিম ওবায়দুর রহমানকে বারবার ফোন করে ঘুষ হিসেবে আরো টাকা দাবী করে এবং ৬০ হাজার টাকাও তাকে দিতে হবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।

অভিযোগে আরো জানা যায়, ভুক্তভোগী ওবায়দুর রহমানকে উক্ত এএসআই তপন মিথ্যা মামলায় জেলের ভয় দিয়ে আসছে। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওবায়দুরের নড়াইল থানা পুলিশের কাছে স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করতে পাঠায়। যার কারণে পুলিশি হয়রানি সহ এলাকায় তার সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ১১ ও ১২ মার্চ নিজে এবং পুলিশের সোর্স দিয়ে ওবায়দুর রহমানের মোবাইলে ফোন করে তাদের দাবীকৃত ৬০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এএসআই তপন। এছাড়া আগামী ১৭ মার্চে সময় বেঁধে দিয়ে নানারকম হুমকি ও মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এমতবস্থায় উক্ত এএসআই তপন কর্তৃক পুলিশি হয়রানি ও ভয়ভীতি থেকে মুক্তি চান ভুক্তভোগী ওবায়দুর রহমান।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং খুলনার দৌলতপুর থানার ওই দূর্নীতিবাজ এএসআই তপন কর্তৃক হয়রানি ও ভয়ভীতি থেকে পরিত্রাণে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মাননীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, এআইজি সিকিউরিটি সেল, খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্ট ও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ ওবায়দুর রহমান।

উল্লেখ্য, উক্ত মহা ক্ষমতাধর, দূর্নীতিবাজ পুলিশ- দৌলতপুর থানার এএসআই তপনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে; যা পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সংবাদ প্রকাশ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/