ঝালকাঠি প্রতিনিধি : অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে শরীরচর্চা ও কায়িক পরিশ্রম নিশ্চিতে খেলার মাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানের বাজেট বরাদ্দ বিষয়ক আলোচনা সভা বুধবার ( ১৮ ডিসেম্বর-২০২৪) সকাল ১১ টার সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা ইয়াসমিন।সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স ঢাকা ও গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি ঝালকাঠির আয়োজনে এ সভায় উপজেলার সকল পার্ক, মাঠ, উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা, হাটা,শরীরচর্চা বৃদ্ধিতে সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন নলছিটি মডেল সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো.খলিলুর রহমান মৃধা,ঝালোকাঠি ইকোপার্ক , নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি- বেলা’র নেটওয়ার্ক সদস্য মু.আল আমীন বাকলাই, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, সুজন সভাপতি ইলিয়াস সিকদার ফরহাদ, এডাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুনু মনির, ইকোপার্ক আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোয়েবুর রহমান সোহেল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সমাজসেবা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ। ইকোপার্ক নদী ও খাল রক্ষা কমিটির সভাপতি মু আল আমীন বাকলাই সূচনা বক্তব্যে বলেন, ঝালকাঠি ইকোপার্ক জনসাধারণের খেলাধুলা, হাটা, শরীরচর্চার জন্য আশীর্বাদ- কিন্তু বিগত মেয়র ও তার পুত্র মনির তালুকদার জালজালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে এটি দখলের পায়তারা করছে।
ঝালকাঠি ডিসি পার্কটি ফিরোজা আমির হোমিও কলেজ জোর করে দখল করেছে প্রাক্তন এমপির নির্দেশে। পৌর পার্কটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হতে বসেছে। শিশু পার্কটিতে শিশুদের জন্য রাইড নাই। বিভিন্ন স্কুলের মাঠে স্থানীয় লোকদের দখল ও তালাবদ্ধ থাকায় তা ছাত্রছাত্রীরা ছুটির পর ব্যবহার করতে পারেনা। এডাব সভাপতি রুনু মনির বলেন ঝালকাঠি উদ্বোধন স্কুলের খেলার মাঠে খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত না থাকায় বখাটেদের আড্ডা হয় এখানে, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করায় মাঠ সংকুচিত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হচ্ছে।
শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমান বলেন মাঠ উন্মুক্ত থাকলে পাহারার সমস্যা হয়, এই বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নিবেন। সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু বলেন প্রাইমারি ও হাই স্কুলের মাঠ সমূহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে, প্রয়োজনে অভিভাবকদের সাথে ও স্থানীয় কমিটির সাথে মিটিং করতে হবে।
সভার আয়োজক কমিটির পক্ষে এনএম এসের নির্বাহী পরিচালক মো.খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ মৃত্যু বরণ করে,যা দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭% এবং এর মধ্যে প্রায় ২২% অকাল মৃত্যু। ডায়াবেটিস,হৃদরোগ, ষ্ট্রোক ও ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ দীর্ঘমেয়াদে ভোগে,যা ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে শারীরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারন হয়।এ সমস্যা গুলো মোকাবেলা করার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাস,নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম,তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ দূষণ কমানোর মাধ্যমে অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, মাঠ না থাকা একটি কারণ, শিশুরা মোবাইলে আসক্ত, প্রাইভেট পড়ার কারণে শরীর চর্চায় সময় পায় না। মাঠগুলির খোঁজখবর নিয়ে যাতে তা খেলার জন্য উন্মুক্ত থাকে এই বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস দেন।
https://slotbet.online/