• শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলন রামপালে যাত্রাপালার নামে অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবীতে ইমাম সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছেছেন তিব্বতে ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জনের প্রাণহানি, জীবিতদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে তুরস্কের সহায়তা বাংলাদেশের উন্নয়নে গতি সঞ্চার করেছে রাজপথ বন্ধ করে দাবি আদায়ের চর্চা বন্ধ করতে হবে : ডিএমপি কমিশনার পোশাক শ্রমিকদের চক্ষু পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন : রাজধানীতে ২২৪৩ মামলা ডিএমপির রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এসিডদগ্ধ করে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে ঝালকাঠিতে মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

এবার পুলিশের প্রতিহিংসার শিকার সাংবাদিক : বিএমএসএস-এর তীব্র নিন্দা

Reporter Name / ১০১ Time View
Update : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠেছে। বাঘায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আবুল হাশেমের উপর হামলা ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হলেও আসামীদের আটক করেনি পুলিশ। মামলা নিতেও করেছেন গড়িমসি।

এদিকে গতকাল শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসির নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দূর্গাপুর থানার নাশকতার মামলায় ফাঁসানো হয় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সহযোদ্ধা সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে। সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকায় কর্মরত।
বাঘার ঘটনায় জানা যায়, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারিরা পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিক আবুল হাশেম ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। এঘটনা আবুল হাশেমের মাথায় ৫ টি  ও তাঁর পিতা সাজদার হোসেনের মাথায় ১২ টি সিলাই দেওয়া হয়। আসামীরা এখনো হুমকি ধামকি দিচ্ছে সাংবাদিক পরিবারকে। পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়।
দূর্গাপুরের ঘটনায় জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসি এলাকার নসির উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলায় আসামী করা হয়। ওই নাশকতা মামলার এজাহারে তাঁর নাম উল্লেখ ছিলো না। অজ্ঞাত আসামী নামে তাঁর নাম ঢুকিয়ে আদালতে চালান করা হয়।

শুধুমাত্র এএসআই আমিনুলের কথায় তাকে আটক করা হয়। আমিনুল দীর্ঘদিন থেকে দূর্গাপুর থানায় কর্মরত। পুকুর খনন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এএসআই আমিনুলের সঙ্গে ঝামেলা ছিলো শাহাবুদ্দিনের।

আটকের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে নাটক। আটকের পরে সদুত্তর দিতে পারিনি পুলিশ। কেনো তাঁকে আটক করা হলো? এমনকি সেসময় ফোনও রিসিভ করেননি থানার ওসিসহ উর্ধ্বতনরা।
এ ঘটনা দুটিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির (বিএমএসএস) ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা।
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি ঘটনায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। পুলিশ প্রতিহিংসা থেকে পৃথক দুটি ঘটনায় হামলার আসামী গ্রেফতার না করা এবং কারণ ছাড়াই সাংবাদিককে আটক করা হয়। এঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বি এম এস এস) রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র (এডিশনাল এসপি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাবছি না। প্রতিহিংসাও করছি না। এটা আপনাদের ভূল ধারণা। সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমরা কাউকে গ্রেফতার করছি না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/