• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজাপুরে বিনামূল্যে সার-বীজ পেল ১হাজার ৯৫০জন কৃষক। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ফুলতলায় অপচিকিৎসা রুখতে গিয়ে কুচক্রী মহলের অপতৎপরতায় বিপাকে ডাক্তার মিজান “ঝালকাঠির বাউকাঠিতে ফিলিস্তিনে ইজরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।” ঝালকাঠির উদচড়া গ্রামে বাড়িঘর দখলের অভিযোগ। কুড়িগ্রামে ১২ বছরের শিশু নিখোঁজ। ঝালকাঠিতে স্কাউট দিবস পালন। ঝালকাঠির গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। মাদারীপুরে ‘ভাই’ সম্বোধন করায় সাংবাদিককে সাবেক সেনা কর্মকর্তার হুমকি সিসিক ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে যোগ দিতে মরিয়া আওয়ামিলীগ দোসর খোকন!

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Reporter Name / ২৮৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪

ভোলা প্রতিনিধি : জেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনজনের প্রাণহানিসহ বহু বাড়িঘর, কাঁচা-পাকা সড়ক, মাছের পুকুর, ঘের, গবাদি পশু, ক্ষেতের ফসলসহ প্রচুর গাছপলার ক্ষতি হয়েছে। অতি জোয়ারের পানিতে বন্দী হয়ে আছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মনপুরা উপজেলায়। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান আজ দুপুরে বাসসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৪৬৫টি বাড়ি-ঘর আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ও ২ হাজার ৪৬৫ টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ৫ হাজার ৮৬০ টি পুকুর ও ৯৫০টি মৎস্য ঘের। ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমির সবজি ও আউশ এবং বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে ১৪ হাজার ১০১ হেক্টর জমির। ৪৫ কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মনপুরা উপজেলায়। এছাড়া চরফ্যাশনসহ অন্যান্য উপজেলাতেও ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ঢালচর, চর কুকরি মুকরি, চরপাতিলা, চর নিজাম, মাঝেরচর, চর চটকিমারাসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চচল প্লাবিত হয়েছে। যদিও ভাটার সময় পানি নেমে যায়। পানির চাপে গতকাল বিকেলে মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া এবং হাজিরহাট পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। বাঁধের সংস্কার কাজ চলছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দুর্গত মানুষের জন্য ৩৭৫ টন চাল, নগদ ১৮ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এই দুর্যোগে দুর্গত মানুষের পাশে প্রশাসন কাজ করছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় দুইদিন বন্ধ থাকার পর আজ দুপুর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়।
এদিকে জেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তান্ডব শেষ হলেও এর প্রভাব রয়ে গেছে। সকাল থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একই সাথে থেমে-থেমে বইছে ঝড়ো হাওয়া। সকাল থেকেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক গতি ফিরে পাচ্ছে। উত্তাল মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/