নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা নির্বাচনে বিলম্ব করতে চায়, তারা গণতন্ত্রের শক্তি নয়, তারা জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের পক্ষেও নয়।
৬ জুলাই রোববার গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, জনগণ নির্বাচন চায়। এটা আমরা অনেকবার বলেছি এবং এখনও বলছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি দেশ সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি পরীক্ষিত গণতান্ত্রিক ও উদারপন্থী দল। আমরা বিপ্লব বা অন্য কোনো উপায়ে নয়, বরং নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যেতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই। আমরা ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছি। আমরা আমাদের অধিকার, বাকস্বাধীনতা, বিচার এবং ন্যায়বিচারের অধিকার চাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির কথা বলছেন, তারা কী ধরনের পিআর চান সেটা কি কেউ জানেন? গণতন্ত্র যেমন একটি ধারণা, কিন্তু বিভিন্ন দেশে এটা বিভিন্নভাবে চর্চা হয়। আমেরিকায় যেভাবে হয়, ইংল্যান্ডে সেভাবে হয় না। ফ্রান্স, ভারত কিংবা শ্রীলঙ্কাতেও একেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। তেমনি পিআর পদ্ধতিও একটি ধারণা, যা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ হয়।
তিনি বলেন, এখন যারা পিআরের কথা বলছেন, তারা কিভাবে সেটা বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে কিছু বলছেন না। তাই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট।
তিনি আরও বলেন, এই রাষ্ট্র জনগণের। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিকও জনগণ। ভোট কীভাবে দেবো, তার জন্য একসময় ইভিএম চালু করা হয়েছিল। এ নিয়ে অনেক প্রশিক্ষণ, প্রচার এবং ভাতা নেওয়া হয়েছে, যেটা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও আছে। তারপরও ইভিএম কার্যকর হয়নি।
পিআর পদ্ধতি মানে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা বদলে দেওয়া। কিন্তু এনিয়ে জনগণের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনে এখনো এ নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। অথচ আমাদের কিছু সহকর্মী বলছেন এটা করতেই হবে, না হলে নির্বাচন হবে না। এটা কোনো যুক্তির কথা নয়। নতুন কোনো পদ্ধতি চালু করতে হলে জনগণের সম্মতি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের এখনও সাত মাস বাকি আছে। বিচার ব্যবস্থায় অগ্রগতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার এখনো করা সম্ভব। জুলাই সনদ আরও আগেই করা যেত। এখন যারা দায়িত্বে আছে এবং কাজ করছে না, এর দায় বিএনপির নয়। বিএনপি অনেক আগেই তার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে।
https://slotbet.online/