বিনয়কাঠির শের-ই বাংলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম
ঝালকাঠি প্রতিনিধি\ ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি শের-ই-বাংলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রর একই ভবনে সর্বসাধারণ ডাক সেবা নিচ্ছেন অন্যদিকে পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। ১জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায় বিনয়কাঠি শের-ই-বাংলা কলেজের ভেণ্যু সুগন্ধিয়া মুসলিম হাই স্কুলের মধ্যে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ডাকঘরের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে ডাক। ভবনের সিঁড়ির নীচে খোলা জায়গায় টেবির চেয়ার পেতে গুরুত্বপূর্ণ ডাক বিভাগের কার্যক্রম চলছে। অবাধে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত করছে সকল ধরনের জনসাধারণ। এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয়কাঠি শের-ই-বাংলা কলেজের নিজাম হায়দার জানান, “জনগনের সুবিধার্থে এবং আমাদের ডাক সেবা গ্রহনের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ডাকঘরটি রাখা হয়েছে। ডাকঘর থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ জানান, সরকারী অফিস কি করবো, আমরা এটা সড়াতে পাড়বো না।”
পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও সদর উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার তামিম আহমেদ জানান, ডাকঘরটি সরকারী প্রতিষ্ঠান বিধায় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে অন্যত্র সড়ানো সম্ভব হয় নাই। ডাক ঘরটি অন্যত্র নেয়া সম্ভব হয়নি বিধায় পরীক্ষা কেন্দ্রের ভবনে রয়ে গেছে। এটা ডাক বিভাগের অনুমতি ছাড়া সড়ানো সম্ভব না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা যায়, নকল সরবরাহের সুবিদার জন্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যেই পরিকল্পিতভাবে ডাক ঘরটি সড়ানো হচ্ছে না। ডাক করার কথা বলে নকল সরবরাহ হয় এই কেন্দ্রে। স্কুল বাউন্ডারীর চতুর্দিকে পরীক্ষা চলাকালিন সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বে কিভাবে কেন্দ্রের বাউন্ডারীর ভিতর সর্ব সাধারণের অবাধে প্রবেশাধিকার বজায় থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ আছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখছি।
ঝালকাঠি প্রধান ডাকঘরের পোষ্টমাস্টার আবু জাফর জানান, “পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ডাকঘরের কার্যক্রম পরিচালনা করার নিয়ম নাই। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ও ডাকঘরের নিরা পত্তার বিঘ্ন ঘটতে পারে। আমি খোজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখবো। প্রয়োজনে ডাকঘরের কার্যক্রম পরীক্ষা চলাকালিন সময় অন্যত্র পরিচালনা করা যেতে পারে। ডাকঘর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের কার্যক্রম একসাথে থাকা সঠিক নয়।”
https://slotbet.online/