নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচিত হত্যা মামলায় গণপূর্ত অধিদপ্তরে তিন প্রকৌশলীর নাম প্রকাশের পর গোটা অধিদপ্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হয়েও জড়িয়েছেন হত্যা মামলায়। অভিযুক্তরা হলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল আলম রাব্বানী , কাজী মাশফিক আহমেদ এবং মোর্শেদ ইকবাল।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য ,লুটপাটসহ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। সরকারি আইন লঙ্ঘন করে রাজনীতিবিদদের মত আচরণ করে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছেন। তবে এ অনিয়মের ফলে বাড়তি উপঢৌকন নিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। সে লোভ একসময় চরম পর্যায়ে চলে যায়। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সব ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন ।
এসব রাজনীতিকদের ইচ্ছা পূরণের হাতিয়ার হিসেবে সব ধরনের কাজে বিতর্কিত ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি চালাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করার অভিযোগ রয়েছে । ভাড়ায় লোক খাটিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন ওই ৩ প্রকৌশলী। এমনকি তারা স্ব-শরীরে অংশ নেন নির্বিচারে ছাত্র হত্যাকারীদের সাথে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে বাদী সুমন হাওলাদার নামে এক ভূক্তভোগী রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ওই তিন প্রকৌশলীসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে। উক্ত মামলা নম্বর ১১৮-এ প্রকৌশলীরা হলেন নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল আলম রব্বানীকে ,১১৪ , কাজী মাশফিক আহমেদ ১১৫ ও মোর্শেদ ইকবালকে ১১৬ নম্বর আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে সুমন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। আমরা শীঘ্রই উক্ত মামলার জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে , বিগত দিনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল আলম রব্বানী, কাজী মাশফিক আহমেদ এবং মোর্শেদ ইকবাল যোগসাজশ করে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন। ওয়ালটন কোম্পানির লিফট একচেটিয়া পিডব্লিউডি সিডিউলে ঢুকানোর জন্য আলাদাভাবে টাকার বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন।
তাছাড়া এ কোম্পানির খরচে আরাম আয়েশের জন্য বিদেশও প্রমোদ ভ্রমণ করেছেন।
গণপূর্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উল্লেখিত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাদের একটি বড় অংশ।
এই বিষয়ে জানতে ওই তিন কর্মকর্তার মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তারা মোবাইল রিসিভ না করায় তাদের কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।
https://slotbet.online/