খবর জনতা ডেস্ক:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) একসাথে কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন, বৃষ্টি ছাড়াও ভারতের উজানে ড্যাম খোলার কারণে বন্যার আগাম তথ্য পেলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে সহায়তা করা হবে মর্মে আশ্বস্ত করেন।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ, আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ এবং দু’দেশের বন্যা ও বন্যাউত্তর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এছাড়াও সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল সামঞ্জস্যপূর্ণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রজননকালে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। ভারতের সমুদ্রসীমায় একই সময় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ না থাকায় দুই দেশের মৎস্য সম্পদই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপদেষ্টা দু’দেশ একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনায় দু’দেশ বিমসটেক-কে গতিশীল করার ব্যাপারেও একমত হন।
ফরিদা আখতার হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, চলমান সংস্কারের অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন খাতে নানা রকম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুল কাইয়ুম, অতিরিক্ত সচিব এ,টি,এম মোস্তফা কামালসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার পাওয়ান বেদে, প্রথম সচিব ভি. প্রতিক নিয়োগী উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/