নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছে সাংবাদিক পুত্র স্কুল ছাত্র সাকিন নাজির (১৪)। পুলিশের ছোড়া গুলি তার পিঠে ও হাতের কব্জিতে বিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পিঠের গুলি বের করলেও হাতের কব্জিতে থাকা গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। এটি এখনো তার শরীরে থেকে যাওয়ায় প্রচন্ড কষ্টে দিনাতিপাত করছে সাকিন নাজির।
গুলিবিদ্ধ সাকিন নাজির নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের মুক্তিনগর ক্যাপিটাল স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। তারা বাবা সাংবাদিক মো. মনিরুল আলম। তিনি গ্লোবাল টেলিভিশনে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাকিন নাজির অংশ নেয়। সেখানে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হয় সে। তার পিঠে ও হাতের কব্জিতে গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পিঠের গুলি বের করলেও হাতের কব্জিতে থাকা গুলি বের করা সম্ভব হয়নি।
এরপর গুলি বের করতে নারায়ণগঞ্জ সদর ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন ঢাকার পিজি অথবা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরে পিজি হাসপাতালে তারা প্রাথমিক ভাবে চেষ্টা করলেও গুলি বের করতে পারে নাই। তারা জানিয়েছেন এই গুলি মেশিনের সাহায্য বের করতে হবে। অন্যথায় সম্ভব না।
পরে সেখানকার চিকিৎসক ছাত্রের বাবাকে জানালেন তাদের মেশিন নষ্ট হয়েছে গেছে, ঠিক হলে তারা ফোন দিয়ে জানাবেন কিন্তু ১৫ দিন পর ওই চিকিৎসকের কাছে ছাত্রের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আরও সময় লাগবে।
এদিকে তার শরীরে গুলি থেকে যাওয়ায় প্রচন্ড কষ্টে দিনাতিপাত করছে সাকিন নাজির।
এদিকে ছেলের এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে আছেন সাংবাদিক বাবা মনিরুল আলম। তিনি আশংকা করছেন ডাক্তারের অবহেলায় তার ছেলে স্কুল ছাত্র সাকিন নাজিরের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
এ অবস্থায় কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে তার ছেলের পাশে দাড়ানোর জন্য চিকিৎসক সমাজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
প্রয়োজনে ০১৭১১ ৪৪০১৬৫ নাম্বারে ফোন করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্র সাকিন নাজিরের পরিবার ও তার সাথে যোগাযোগ করা যাবে।
https://slotbet.online/