খবর জনতা ডেস্ক:
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গতবার এই হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তবে কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার ৪৪৯টি কম।
রোববার (১২ মে) এসএসসি-২০২৪ এর ঘোষিত ফলাফল ও ২০২৩ সালের ফল বিশ্লেষণ করে এই চিত্র দেখা যায়।
ফলাফলে দেখা যায়, চলতি বছর মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। যা এসএসসি-২০২৩ এ তুলনায় এক হাজার ৪৪৯টি কম। গত বছর মোট ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ এবং জিপিএ ৫ পায় এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন।
বিভাগভিত্তিক জিপিএ-৫ এর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী। পরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যশোর শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬০ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ১৭৬ জন। কুমিল্লা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থী। বরিশাল শিক্ষাবোর্ড জিপিএ-৫ পেয়েছে রিশাল ৬ হাজার ১৪৫ জন শিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী।
অপর দিকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী।
পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বোর্ডভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও মাদরাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এর আগে রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। সুত্র: ঢাকা মেইল
https://slotbet.online/