রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু:ঝালকাঠিতে করাত কল মালিক সমিতির দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা করাত কল মালিক সমিতির কাঠপট্টি রোডস্থ অস্থায়ী জেলা কার্যালয় শুক্রবার ১৬ মে সকালে মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন, স্বমিল মালিক আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, রুবেল খান এবং সাংবাদিকদের পক্ষে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। আরো বক্তব্য রাখেন কাঠালিয়া উপজেলার সভাপতি হারুন অর রশিদ, রাজাপুর উপজেলার সভাপতি আব্দুল বারেক,কাঠালিয়ার সহ সভাপতি সেলিম মোল্লা।
সভাপতির ভাষনে আলহাজ্ব মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, ” আমাদের স্ব-মিলের লাইসেন্স এর মেয়াদ ১বছর। বর্তমান সরকারের কাছে বনবিভাগের লাইসেন্স এর মেয়াদ ৩বছর করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। প্রতিবছর লাইসেন্স নবায়ন করা জন্য ভোগান্তি দেওয়া। পৃথিবীর কোন দেশেই এক বছর লাইসেন্স এর মেয়াদ নেই। লাইসেন্স এর মেয়াদ অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ২০২২ সালের বিধিমালার সংস্কার চাচ্ছি, যাহাতে সহজে লাইসেন্স পাওয়া যায়। লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হওয়ার ১বছরের মধ্যে শর্তহীন ভাবে নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারে তাহার ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাগন বিভিন্নভাবে উৎকোচ গ্রহন করে সরকারী জমিতে স্ব-মিল স্থাপনের জন্য পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেন।
যেখানে জেলা প্রশাসক মহোদয় আহবায়ক সেখানে বিগত দিনে সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্ব ফাকি দিয়ে কতিপয় লোক স্ব-মিল পরিচালনা করে আসছে। এ বিষয়ে বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয়কে তরিৎ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে দাবী জানান। অবৈধ স্ব-মিল গুলোকে বন বিভাগের কর্মকর্তাগন লাইসেন্সবিহীন ভাবে পরিচালনা করার জন্য সহযোগিতা করে, যারা নিয়মিতভাবে লাইসেন্স গ্রহন করে স্ব-মিল পরিচালনা করে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। অবৈধ স্ব-মিলগুলো সমিতির নিয়ম বহিঃভূতভাবে অবৈধ রেটে গাছ কাটছে। অবৈধ মিলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সমিতির দেওয়া রেট চার্ট অনুযায়ী গাছ কাটতে হবে। যদি কোন স্ব-মিল সমিতির দেওয়া রেট চার্ট ছাড়া গাছ কাটে তাহলে সমিতি উক্ত স্ব-মিলে জরিমানা করতে পারবে। সকল লাইসেন্সবিহীন স্ব-মিলগুলো লাইসেন্স গ্রহন করে স্ব-মিল পরিচালনা করতে হবে। জনাব আলহাজ্ব মোঃ সোহরাব হোসেন আরো বলেন ২০১২ সালের গেজেট অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহনের বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্বেও আমাদের কাছে সেই ছাড়পত্র চাওয়া হয়। এসর প্রক্রিয়ার কারনে স্ব-মিল মালিকরা হয়রানির স্বীকার হয়ে মারাতুক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে স্ব-মিল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে স্ব-মিল মালিক ও শ্রমিকরা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে। লাইসেন্স নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোন হয়রানী না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি এবং আমারা মালিকগন সহজ প্রক্রিয়ায যাহাতে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারি তাহা আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করিতেছি। ”
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউর রহমান মুসা, রাজাপুর উপজেলার সভাপতি মোঃ বারেক হাওলাদার, কাঠালিয়া উপজেলার সভাপতি মোঃ হারন অর রশিদসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
https://slotbet.online/