নিজস্ব প্রতিবেদক : থেকে:ঝালকাঠির কাঠালিয়ার বটতলা বাজারে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোঃ হারুন অর রশিদের বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা ঢুকে পরিবারের আট সদস্যকে হাত-পা মুখ বেঁধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে লুট-পাট, ভাংচুর করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি গুড়িয়ে দেয়।
ঘটনাস্থান কাঠালিয়া থানা থেকে ১ কিলোমিটার দুরে হলেও ঘটনার প্রায় আড়াই ঘন্টা পর মাত্র দুইজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত হন বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটির অভিযোগ। ততক্ষনে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসীরা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মংচেনলা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে (রাত ৪টায়) একদল সন্ত্রাসী কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের আনইলবুনিয়া গ্রামের বটতলা বাজারে হারুন অর রশিদের বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি জানান- আনইলবুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রাত ৪টায় মুখোশ পরে রামদা ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাকে ও আমার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৫০), ছেলে মেহেদী (২৮), পুত্রবধু লাকী (২৪), প্রতিবন্ধী মেয়ে শিরিন আক্তার (৩০), মেয়ে সাবরিনা (২১), ফাতেমা (১৯) স্কুল পড়–য়া মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (১৪) কে হাত-পা ও মুখ বেঁধে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে ঘরে লুটতারাজ চালিয়ে ৮ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল ও নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমা-জমির দলিলপত্র নিয়ে যায়। অপরদিকে বাহিরে থাকা অর্ধশত সন্ত্রাসী বাহিনী বসতঘর সংলগ্ন কাঠালিয়া-আমুয়া সড়কের বটতলা বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এখানে মুদি-মনোহরী, কসমেটিক্স, মুরগির পোল্ট্রির দোকান, চা-দোকান, কনফেকশনারী সহ ৬টি দোকান ছিলো। এ সময় হামলাকারী দুর্বৃত্তরা দোকানে থাকা এক লক্ষ তিন হাজার নগদ টাকা, পাঁচ লক্ষ সাত হাজার টাকার মুদি মালামাল, চাল, চিনি, আটা, ময়দা, ডাল, চিড়া, কলা, সুপারি সহ চার লক্ষ টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।
ছেলে মেহেদী জানান- হামলা ও লুটপাটের সময় আমার আত্মীয় স্বজনরা খবর পেয়ে জাতীয় পরিসেবার সাহায্যের জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে আড়াই ঘন্টার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের হাত-পা ও মুখের বাঁধন খুলে দেয়। পরবর্তীতে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তবে সরোয়ারের লোকজন ইট, বালু ও কাঠ, টিন মওজুত করে রেখেছে, রাঁতের অন্ধকারে ঘর উঠানোর চেষ্টা চালাতে পারে। আমরা ২০০৭ সালে নানার কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এ জমিতে আমরা ঘর তুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
বটতলা বাজার কমিটির সহ সভাপতি মোঃ মাঈনুদ্দিন, ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক, আবুল হোসেন ও হৃদয় জানান- এখানে হারুনের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। রাতে কে বা করা ভেঙ্গেছে তা আমরা দেখিনি, তবে শুনেছি। দীর্ঘদিন হারুন এ খানে ব্যবসা করে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
https://slotbet.online/