খন্দকার আছিফুর রহমান : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি’।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি আজ বিকেলে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাত করতে গেলে তাৎক্ষণিক এক বৈঠকে এ কথা বলেন।
বৈঠকে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী অন্যতম দেশ হচ্ছে রাশিয়া। বাংলাদেশ জি টু জি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে গম ও সার আমদানি করে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন গম আমদানির টাকা পরিশোধ করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, বন্যাসহ বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমদানিকৃত গমের সর্বশেষ চালানের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহ (রপ্তানি) অব্যাহত রাখার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে রাশিয়াকে অবহিতকরণের অনুরোধ করেন এবং সেক্ষেত্রে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া বিনামূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বা এক জাহাজ পটাশ সার সরবরাহ করবে। উপদেষ্টা এজন্য রাশিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি সারের পাশাপাশি বাংলাদেশকে এক জাহাজ গম বিনামূল্যে সরবরাহ করারও অনুরোধ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, ভবিষ্যতে এ খাতে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের কাউন্সেলর আন্তন চেরনভ ও ভøাদিমির মোচালভসহ দূতাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/