• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ঝালকাঠি প্যারেন্টস প্রেয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুল ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী মানব সেবা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ঝালকাঠির ইকোপার্ক রক্ষা,খেলার মাঠ ও পার্কের অনুকূলে পৌরসভার বাজেট বরাদ্দ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মাসুম এবং তার পুত্রের দূর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে আসছে বিস্তারিত.. রামপাল-মোংলায় কৃষিকে বাঁচাতে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন করা হবে : কৃষিবিদ শামীমুর রহমান  আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি নিয়ে ছেলেরা দূর্ণীতি করে কোটিপতি : রাজাপুরের যুদ্ধকালিন ইউনুচ আওয়ামী সহযোগীতায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নলছিটি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আয়োজিত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কলঙ্ক ও অভিশাপের চিহ্ন ট্যাটু: আপনার কলঙ্কের এ দাগ মুছতে চায় হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি

Reporter Name / ১৬৩ Time View
Update : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

মোঃ মোশাররফ হোসাইন রাজু: Tem-HCSB এর পরিচালক মুহাম্মাদ রাজ ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা মোঃ ইবরাহিম মিয়া বলেন, আলহামদুলিল্লাহ স্রষ্টার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সৃষ্টির সেবায় ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে Tem-HCSB এর মাধ্যমে পরিচালিত খুবই অসহায় ছিন্নমূল বেওয়ারিশ ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, বন্যা ঘূর্ণিঝড় সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, গভীর নলকূপ স্থাপন, অসহায়দের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন, অটো রিকশা ও গবাদি পশু বিতরণ, মসজিদ মাদ্রাসা ও স্কুল স্থাপন, নও মুসলিম সেবা কার্যক্রম ও কোরবানির গোস্ত বিতরণ, বস্তি ও ফুটপাতে রান্না করা খাবার বিতরণ সহ মানবিক কার্যক্রম বাংলাদেশের জাতীয় গণমাধ্যম ও সর্ব মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।

তারা বলেন, এবার আমরা নতুন করে ট্যাটু রিমুভ কর্মসূচি আমাদের সেবা কার্যক্রমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছি।

ইংরেজি ট্যাটু শব্দের বাংলা অর্থ উলকি। আরবিতে বলা হয় ‘আল ওয়াশ্‌ম’। মানবদেহের ত্বকে সুঁই বা এ জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে ক্ষত করে বাহারি রঙের নকশা করার নামই ওয়াশ্‌ম, উলকি বা ট্যাটু। ট্যাটু সাধারণত স্থায়ী হয়, অথবা সহজে মুছে ফেলা যায় না।

ইসলামে ট্যাটু করা হারাম। এটি আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি। কোরআন-হাদিসে ট্যাটু করতে নিষেধ করা হয়েছে। ট্যাটুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিশপ্ত বলা হয়েছে। ট্যাটু মানুষকে অসংখ্য গুনাহে লিপ্ত করে। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো—

অঙ্গবিকৃতি নাজায়েজ:

শরীরে ট্যাটু করা হারাম হওয়ার কারণ—এর মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি খুবই গর্হিত। একই কারণে কৃত্রিম চুল লাগানো (পরচুলা, হেয়ার প্ল্যান্টেশন), সৌন্দর্যের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করা, ভ্রু কাটা (ভ্রু প্লাক, চেঁচে ফেলা) ইত্যাদিও নাজায়েজ।

পবিত্র কোরআনে মানুষকে আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর আকৃতির সৃষ্টি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা তিন: ৪)

তাই মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকৃত করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে অঙ্গবিকৃতিকে শয়তানের অনুসারীদের কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেমন অভিশপ্ত শয়তান আল্লাহকে বলেছিল, ‘আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেছে নেব, তাদের বিপথগামী করব, তাদের আশ্বাস দেব; তাদের পশুদের কান ফুঁড়তে বলব এবং তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা নিসা: ১১৭-১১৯)

উল্লেখ্য, জাহেলিয়াতের যুগে মুশরিকেরা বিভিন্ন দেব–দেবির নামে উৎসর্গ করা পশুর কান ছিদ্র করত। পশুগুলোকে চিহ্নিত করতেই এটি করা হতো।

ট্যাটু সংশ্লিষ্টরা অভিশপ্ত:

হাদিসে অঙ্গবিকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিশপ্ত আখ্যা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘যে নারী নকল চুল ব্যবহার করে এবং যে তা সরবরাহ করে, আর যে নারী ট্যাটু আঁকে এবং যে আঁকায়, রাসুল (সা.) তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৫৯৮; মুসলিম: ৫৬৯৩)

অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকে এবং আঁকায়, যে নারী ভ্রু কাটে এবং দাঁত ফাঁকা করে, আল্লাহ তাআলা তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৬০৪)

একাধিক গুনাহের আশঙ্কা:

ট্যাটুতে বিভিন্ন প্রাণীর ছবি আঁকা হয়, যা বড় গুনাহের কাজ। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যারা প্রাণীর ছবি আঁকে, তাদের কেয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। এবং তাদের বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তাদের আত্মা ও জীবন দাও।’ (বুখারি: ৪৭৮৩)

একই ভাবে ট্যাটু করতে গিয়ে পর্দা লঙ্ঘিত হয়, তাও বড় গুনাহের কাজ। এ ছাড়া নারী-পুরুষের শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা আবশ্যক, তাতে ট্যাটু করে মানুষকে দেখিয়ে বেড়ানো আরও বড় গুনাহের কাজ।

উল্লিখিত কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, ফ্যাশন হিসেবে বা সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকা হারাম। এই বিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। এটি একটি অভিশপ্ত প্রথা, যা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।

অজু-গোসলের বিধান:

ট্যাটুর কারণে ত্বকে পানি পৌঁছাতে বাধার সৃষ্টি হলে অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে যত দিন ট্যাটু থাকবে, তত দিন অজু-গোসল আদায় হবে না। একইভাবে অস্থায়ী আঁকাজোকার কারণে পানি পৌঁছাতে না পারলেও অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। (আল-মাউসুয়াতিল ফিকহিয়্যাহ আল-কুয়েইতিয়্যাহ)

এ ছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে ট্যাটুর স্বাস্থ্যগত অপকারিতাও রয়েছে। তাই এই অভিশপ্ত ফ্যাশন থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আগেকার যুগে নারীরাই বেশি উল্কি অঙ্কন করাত। বর্তমান বিশ্বেও উল্কি অঙ্কনে নারীদের হার বেশি। সমীক্ষায় পাওয়া যায়, বিশ্বের ৫৮ শতাংশ নারীর শরীরে অন্তত একটি ট্যাটু বিদ্যমান, সে তুলনায় পুরুষের ৪১ শতাংশ।
জেনে বা না জেনে যেসব মুসলমান এই জঘন্য পাপে লিপ্ত আছেন, তাদের প্রতি “হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ”বিনীতভাবে অনুরোধ করছে যে, আপনারা তওবা করে এ পাপ পরিহার করুন। ট্যাটু তুলে ফেলুন। আল্লাহর এই নাফরমানির চিহ্ন নিয়ে কবরে গেলে কী উপায় হবে ভেবে দেখুন।

তারা আরো বলেন- যারা ট্যাটু তুলবেন, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আপাতত ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ট্যাটু রিমোভ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, তাদের হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো। আসুন সবাই মনমতো ফ্যাশন গ্রহণ না করে প্রিয় নবীজির সুন্নত মেনে চলি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/