• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ঝালকাঠি প্যারেন্টস প্রেয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুল ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী মানব সেবা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ঝালকাঠির ইকোপার্ক রক্ষা,খেলার মাঠ ও পার্কের অনুকূলে পৌরসভার বাজেট বরাদ্দ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মাসুম এবং তার পুত্রের দূর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে আসছে বিস্তারিত.. রামপাল-মোংলায় কৃষিকে বাঁচাতে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন করা হবে : কৃষিবিদ শামীমুর রহমান  আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি নিয়ে ছেলেরা দূর্ণীতি করে কোটিপতি : রাজাপুরের যুদ্ধকালিন ইউনুচ আওয়ামী সহযোগীতায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নলছিটি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আয়োজিত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রামপালের ফয়লাহাট চিংড়ি পোনার আড়ৎ : সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ক্রেতারা

Reporter Name / ১৫৭ Time View
Update : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

সরদার মহিদুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি (বাগেরহাট) : প্রতারনা করে ক্রতাদের ঠকানোর কারণে চিংড়ি চাষিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দেশের সর্ব বৃহৎ চিংড়ি পোনার আড়ৎটি বাগেরহাটের রামপাল উপজলার ফয়লাহাটেই অবস্থিত। এক সময় এ পোনার আড়তের সুনাম দেশব্যপি ছড়িয়ে পড়লেও প্রতারকদের কারণে এখন সেই সুনাম ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে বেশিরভাগ আড়ৎ মালিকেরা অভিযাগ করেছেন।

জানাগেছে, দক্ষিনাঞ্চলে লবন পানিতে ১৯৮০ সালের দিকে বানিজ্যিকভাবে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ শুরু হয়। চিংড়ি চাষের পোনার যোগান দিতে নদী ও সড়ক পথের উপর নির্ভর করে বাগরহাটের ফয়লাহাট গড়ে ওঠে চিংড়ি পোনার আড়ৎ। ওই সময় হাতে গোনা কয়েকটি আড়ৎ গড়ে উঠলেও পরবর্তীতে আড়তের সংখ্যা বেড়ে যায়। এখন বর্তমানে অর্ধশত পোনার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি চিংড়ির পোনা বিক্রি হয়ে থাকে।

সুন্দরবন পোনার আড়তদার হাওলাদার জুলফিকার আলী, হাওলাদার পোনার আড়তদার আলহাজ্ব সেলিম হাওলাদার, বিসমিল্লাহ পোনার আড়তদার আলহাজ্ব রেজাউল করিম, প্রমি পোনার আড়তদার মো. মনিরুজ্জামান, শাহাজালাল পোনার আড়তদার মিজানুর রহমান, মায়েরদোয়া পোনার আড়তদার কোহিনুর ইসরাম মুক্ত, গাজী পোনার আড়তদার বাবুল গাজী অভিযোগে জানান, আড়তের শুরু থেকে ব্যবসা করে আসছি, তখন পোনা বিক্রি নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। এখন এ পোনার আড়তে একদল প্রতারক ঢুকে পড়ায় আড়তের যতো সুনাম ছিল তারা তা নষ্ট করে ফেলেছে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এক ব্যক্তি নতুন একটি প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছে। তারা পোনা ব্যবসার নামে ক্রেতাদের ঠকিয়ে লাভবান হচ্ছে। প্রতারক চক্র আড়তের সামনে পলিথিনের পলিতে তিন হাজার পোনা নিয়ে বসে থাকে। ক্রেতারা এলে প্রথমে সেই তিন হাজারের পোনার পলি দেখানা হয়। এরপর দরদাম ঠিক হলে ভিতরে থাকা কচটেপ দিয়ে আটকানো কার্টুন এনে দিয়ে বলা হয় এ কার্টুনেও তিন হাজার পোনা আছে। গগনা না করে ক্রেতারা সরল বিশ্বাসে সেই কার্টুন কিনে নিয়ে যান। পরে ওই পোনা ঘেরে অবমুক্ত করার আগে গগনা করে দেখা যায় মাত্র তিন থেকে চার’শ পোনা রেয়েছে কার্টুনের পলিতে ! এভাবে বছরের পর বছর ওই প্রতারক চক্রটি সাধারন ঘের মালিকদের ঠকিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তেড়ে আসে। এ প্রতারক সিন্ডিকেটের সাথে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। অনেকে পোনা কিনে ঠকে আড়ৎ মালিক সমিতির কাছে বিচার দিলেও কেউ বিচার পেয়েছেন এমন নজির নেই। আর এ কারণে দিন দিন এ আড়তের পোনা ক্রেতার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে আড়তের বেশ কয়কজন ব্যবসায়ী শ্বীকার করেন। তারা প্রতারক চক্র ঠেকাতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক ও এমপি হাবিবুন নাহারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদর মাসিক আইন শৃংখলা কমিটিে তোলা হলেও কোন প্রতিকার পাননি ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের কার্টন পোনা সরবরাহকারী ব্যাবসায়ী আবু তালেব, আ. রাজ্জাক, মো. শফিউদ্দিন ও মো. নুরুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এ আড়তে পোনা নিয়ে আসার পরে কার্টন খুলে পলিতে বেশী মাছ ঢুকিয়ে সেই পলির পোনা দেখায় প্রতারক চক্র। এ ছাড়াও গলদার রেণু পোনার বদলে এক ধরণের চোচ পোনা গলদার রেণু বলে বিক্রি করে চক্রটি। কম পোনার কার্টনগুলো কৌশলে বেশী সংখ্যক পোনা আছে এমন কথা বলে চালিয়ে দেয়।

অনুসন্ধানে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মামুন শেখ, মহিবুল্লাহ শেখ, সুজন দাস, জাহিদ শেখ, মোস্তফা গাজী,বাদশা দাই, এস্তেহার মোল্লা, মোস্তাক শেখ, জাহিদ শেখ ও রিপন দাস ওই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে সরোজমিনে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আড়তদার সমিতির আহবায়ক হাওলাদার মুজিবুর রহমানের মুৃঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সমিতির সদস্য সচিব হাওলাদার আ. সালামের ফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। যে কারণে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক এবং স্থানীয় সংসদ হাবিবুন নাহার এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/