ভোলা প্রতিনিধি: জেলায় ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির এসব স্বেচ্ছাসেবক জেলার ৭ উপজেলায় শনিবার রাত থেকেই বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করছে। দুর্যোগে ঝুঁকিতে থাকাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে। এছাড়া জেলায় মোট ৮৬৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ৯৮ টি মেডিকেল টিম।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বাসস’কে বলেন, যেহেতু ১০ নম্বর মহাবিপদৎ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, তাই পতাকা উত্তোলনসহ আমাদের সব কার্যক্রম চলছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সাইরেন বাজিয়ে এবং মাইকিং এর মাধ্যমে জনসাধারণকে সতর্ক করছে। একই সাথে জনসাধারণকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছে তারা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এছাড়া চাল রয়েছে ২২২ টন, ঢেউটিন ২১৪ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী বাবদ ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার ২ হাজার ২২৩ প্যাকেট।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বাসস’কে জানান, শনিবার রাত ১০টার পর থেকে জেলায় সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে দ্বীপ জেলা ভোলায়। ঝড়ো হাওয়াসহ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। উত্তাল রয়েছে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী। স্বাভাবিকের চাইতে কয়েক ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে এসব নদীর পানি।
https://slotbet.online/