নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক্স এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল (ইকোসক) আয়োজিত আন্তর্জাতিক জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশন এর ৫৭তম অধিবেশনে (আন্তর্জাতিক কমিশন ওয়ান পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট-৫৭) পাঁচ দিনব্যাপী এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য জাতিসংঘের আমন্ত্রণে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী পরিচালক, সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর জেনারেল সদস্য মোঃ রেজাউল করিম গত ২৯ শে এপ্রিল থেকে ৩ মে ২০২৪ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭ তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানের বিভিন্ন
কর্মসূচির পাশাপাশি তিনি সাইড বৈঠকে ইউনাইটেড নেশনস ডেমোক্রেসি ফান্ড(UNDEF) এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অফিসার মিস মিকিকো সউয়ানিশি এর সাথে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের ১৫ তলায় ১৫১৭ নম্বর রুমে সাক্ষাৎ করেন। উক্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে তার সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং তার নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট হস্তান্তর করেন। উক্ত রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন তারা যে সকল ভোটকেন্দ্র গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ফলাফল পেয়েছেন তাতে দেখা গিয়েছে ভোটকেন্দ্রে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছিল না। প্রতিযোগিতামূলক কোন প্রার্থী ছিল না। ভোট কেন্দ্রগুলো একচেটিয়া সরকার দলীয় নির্বাচনী কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ভোটার উপস্থিতি বেশি দেখানোর জন্য স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজন ভোট দেওয়ার পরেও ভোটকেন্দ্র ত্যাগ না করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে বিরোধী দলের লোকজনের কোন নির্বাচনী পোলিং এজেন্ট ছিল না। মিডিয়া বা পর্যবেক্ষক দলের কোন লোক দেখলে প্রার্থীর লোকজন দ্রুত এক জায়গায় জমায়েত হয়ে ভোটার উপস্থিতি বেশি আছে বলে বোঝানোর চেষ্টা করত। তাদের পর্যবেক্ষণ করা ১৩ টি ভোট কেন্দ্রের ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৫.৯৫%,
৮.৩৪%, ৪.৪২%, ১০.২৮%, ২.৯১%, ১২.২০%, ১০.৪৩%, ১০.৩৫%, ১২.৬৪%, ৯.০৩%, ১২.৯৬%, ৮.০৭%, ও ১৪.২৫% যা গড়ে ৯.৩৭% যাহা সরকার দলীয় ভোটার সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশর ও কম।মো: রেজাউল করিমের নেতৃত্বে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আরো উল্লেখ করেন এক কথায় উক্ত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন টি ছিল একদলীয় ও প্রতিযোগিতাহীন ভোটের এক জ্বলন্ত উদাহরণ যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে । গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে তিনি কিছু সুপারিশও তুলে ধরেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তাদের সুপারিশগুলো ছিল
০১.নির্বাচনে সর্বদলীয় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
০২.প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রে গুলোকে সরকার দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের প্রভাব মুক্ত রাখা।
০৩.আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা।
০৪.ভোট কেন্দ্রে যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
০৫.প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রকৃত অবস্থা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করা। মিস মিকিকো বলেন তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন এবং বিগত নির্বাচন কে নিয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেন।
এক ঘন্টা ব্যাপী আলোচনা শেষে মোঃ রেজাউল করিম, মিস মিকিকো সউয়ানিশিকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তার সুবিধা জনক সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
https://slotbet.online/