‘নেতৃত্ব’ শান্তর কাছে নতুন কিছু নয়, বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দেবার স্বাদ মিটেছে তার। তবে এবার দায়িত্বটা একটু বেশিই। আগে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অধিনায়কত্ব করলেও এবার স্বয়ংসম্পূর্ণ তিনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই শুরু হয়েছে তার পরীক্ষা। টি-টোয়েন্টিতে আশানুরূপ সাফল্য না এলেও ওয়ানডে সিরিজটা রাঙাতে চান শান্ত।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো খেলেও সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ রয়েছে বাংলাদেশের। সেই দুঃখ ঘুচাতে ওয়ানডে সিরিজটা নিজেদের করে নেয়ার বিকল্প নেই। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় সুযোগটা একটু বেশিই। তাছাড়া সাকিব আল হাসান বাদে পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশ দলটাই পাবেন শান্ত।
তবে খানিকটা দ্বিধা রয়েছে টপ অর্ডার নিয়ে। উপরের তিনটা পজিশন নিয়ে লড়াই করছেন পাঁচজন। যেখানে নাজমুল হোসেন শান্ত তিন নম্বরে ফিক্সড হওয়ায় বাকি চারজনের দু’জন কেবল পাবেন একাদশে সুযোগ। যেখানে নিয়মিত ওপেনার লিটন দাস ছাড়া আছেন তানজিদ তামিম, এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার।
কেমন হবে একাদশ? জানতে চাওয়া হয়েছিল শান্তর কাছে। তবে সুকৌশলে প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলেন তিনি। বললেন, ‘সবারই সুযোগ রয়েছে। যে ১৫ জন দলে আছে সবারই সুযোগ রয়েছে আগামী কালকের ম্যাচ খেলার। আমরা কালকে হয়তো সিদ্ধান্ত নেব কোন ১১ জন দলের জন্য ভালো হবে। কালকে সেরা ১১ জনই খেলবে।’
কোন পজিশনে খেলবেন তা নিয়ে আছে দ্বিধা থাকলেও সৌম্য সরকার যে খেলবেন তা অনেকটা নিশ্চিত। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্বক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- সবকিছুতে সৌম্য থেকে শতভাগ চাই।’
ভবিষ্যতের আশায় বর্তমানকে বাজি লাগাতে চান না নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষপাতিত্ব নন নয়া অধিনায়ক। পরিকল্পনা অনুযায়ী দলকে এগিয়ে নিতে চান তিনি। যেখানে অভিজ্ঞ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে পেলেও পাচ্ছেন না সাকিবকে। যা নিয়ে বেশ আক্ষেপ রয়েছে শান্তের।
তিনি বলেন, ‘গত সিরিজে খুব একটা অদলবদল হয়নি। রিয়াদ ভাই দলে যুক্ত হয়েছেন। এখন সাকিব ভাই নেই। দলের কম্বিনেশনে একটু এদিক-সেদিক করতে হয়। উনি থাকলে দল করাটা সহজ। এসব মাথায় রেখেই ব্যাটিং অর্ডার সাজাব। তবে আশা করব ব্যাটিং অর্ডারে খুব বেশি নাড়াচাড়া হবে না।’
আগামীকাল ১৩ মার্চ সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে। বাকি দুই ওয়ানডে ১৫ ও ১৮ মার্চ। সিরিজের সবকটি ম্যাচের ভেন্যুই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।
https://slotbet.online/