ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পণবন্দী ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিকের প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
কেএসআরএম-এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বলে জানতে পেরেছি। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে পণবন্দী ২৩ ক্রুর সবাই জাহাজের কেবিনে নিরাপদে আছেন। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
পণবন্দী হওয়া ক্রুরা হলেন- ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার মো: তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো: সাব্বির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো: তৌফিকুল ইসলাম, তৃতীয় প্রকৌশলী মো: রোকন উদ্দিন, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেক্ট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, এবি মো: আনোয়ারুল হক, এবি মো: আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস জয় মাহমুদ, ওএস মো: নাজমুল হক, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, মো: আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো: শফিকুল ইসলাম, জিএস মো: নূর উদ্দিন ও ফিটার মো: সালেহ আহমেদ। তাদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের বলে জানা গেছে।
গোল্ডেন হক নামে পরিচিত এমভি আবদুল্লাহ গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানায় আসে। পণবন্দী জাহাজটিসহ কেএসআরএম গ্রুপের মোট ২৩টি জাহাজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে একই মালিকের ‘এমভি জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ পণবন্দী করেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। ওই সময় মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি মুক্ত করা হয়।
সূত্র : ইউএনবি
https://slotbet.online/